নড়াইলে দশম শ্রেনির ছাত্রী অপহরন, থানায় মামলা

 

 

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল প্রতিনিধিঃ

আলাদাতপুর গ্রামের দশম শ্রেনির ছাত্রী অপহরনের অভিযোগ উঠেছে।
নড়াইলে দশম শ্রেনির এক ছাত্রী অপহরনের ঘটনায় পরিবারের দায়ের করা মামলার আসামি আল আমিন শরিফ পলাতক রয়েছে।
নড়াইল সদর থানায় ওই ছাত্রীর মা একটি অপহরন মামলা দায়ের করেছে,যার-মামলা নং ০১/১৯৬।
এদিকে,দশম শ্রেনির ছাত্রী মেয়েটি আদো বেঁচে আছে কি না,এবং প্রেম ঘটিত বিষয় কি না,সেটাও জানেনা মেয়েটির পরিবার।
নিখোজ মেয়ের মামা অ্যামেরিকা প্রবাসী মিল্লাত মোবাইল ফোনে জানান,আমার দুলাভাই গুরুতর অসুস্থ্য হওয়ায় আমার বোন দুলাভাই কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলেন,চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে মেয়ে কে না দেখতে পেয়ে খুঁজাখুঁজির করে,না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আল আমিনের সাথে মেয়েটির প্রেমের বিষয়ে জানতে চাইলে,মিল্লাত আরো জানান,আমার ভাগনী কোন সময় আমার বোন তথা ওর মাকে ছাড়া ঘর থেকেও বের হয় না,প্রেম তো দুরের কথা ও ছোট মেয়ে বলেও জানান।
বেতবাড়ীয় গ্রামে খালা বাড়িতে থাকা আল আমিন শরিফের বন্ধু দক্ষিন নড়াইল গ্রামের ইমন এ প্রতিবেদক কে জানান,আল আমিন শরিফ বেতবাড়ীয়া গ্রামে খালা বাড়িতে থাকতো এ সুবাদে আমার সাথে বন্ধুত্ব হয়।
আল আমিনের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল,গত (২৯অক্টোবর) সকালে মেয়ের বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় মেয়েটি বাড়ি থেকে বের হয় এবং আল আমিন আমাকে ফোনে বলে আমি ওকে নিয়ে চলে যাচ্ছি তুই একটা উপকার করতে পারবি,তখন আমি (ইমন) আল আমিনরকে বলি আমি কাজে আছি আমি কোন ঝামেলায় জড়াতে পারবো না বল্লে আল আমি ফোন কেটে দেয়।
এর পরে আলামিনের সাথে আমার কথা হয়নি,পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে এদের বিষয়ে জানতে চাইলে আপনাকে যা যা বলেছি পুলিশকেও এসবই বলেছি বলে জানান।
আল আমিন শরিফ,পিতা,মো:গোলাম রসুল শরিফ,গ্রাম,কোটর কান্দি,ডাকঘর,সিরাজদী,থানা,আলফাডাঙ্গা,জেলা,
ফরিদপুর।
আল আমিন শরিফ দির্ঘদিন ধরে
খালা মিসেস ডলি বেগম,স্বামী মৃত,ইদ্রিস মোল্যার,বেতবাড়ীয়ার দক্ষিন নড়াইলের বাসায় থাকতো।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো:ইলিয়াস হোসেন,জানান,মেয়েটির নিখজের অভিযোগ পেয়েছি মেয়েটির পরিবার একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সততা বের করে দোশীদের আটকের চেষ্টা চলছে,আসামি আল আমিন শরিফ পলাতক রয়েছে,সত্য উদ্ঘাটন ও মেয়েটিকে খুজে বের করতে আমাদের সকল প্রকার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।